নিখোঁজের ৩ ঘন্টা পর কাপ্তাই হ্রদ থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার


আলমগীর মানিক    |    ০৮:১১ পিএম, ২০২২-০৮-০৬

নিখোঁজের ৩ ঘন্টা পর কাপ্তাই হ্রদ থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

রাঙামাটিতে বেড়াতে এসে কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যাওয়ার তিন ঘন্টা পর পর্যটক রুবায়েত রশিদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় রুবায়েতের মরদেহ রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজের ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

নিহত রুবায়েত চট্টগ্রামের কর্ণেল হাটের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী হারুনুর রশিদ এর সন্তান বলে জানাগেছে। বন্ধুর পরিবারের সাথে চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। 

রুবায়েতের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সফরসঙ্গী রিয়াজুল ইসলাম(২৮) জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে তিনি ও তার পরিবারসহ রুবায়েত, সাজিদ নামের আরো একজনসহ মোট পাঁচজন মিলে ঝুলন্ত ব্রীজের ঘাট থেকে একটি ফাইভার বোট(৪৪ নাম্বার) ভাড়া করে কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে বের হন।

হ্রদের ওপারে একটি রেষ্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যেই হ্রদের মাঝে অবস্থিত দারোগার টিলা নামক জায়গায় বোট থামিয়ে গোসল করতে নেমে যান রুবায়েত রশিদ। এসময় বোট চালক বারংবার নিষেধ করেছে বলেও জানিয়েছেন নিহত রুবায়েতের বন্ধু রিয়াজুল। 

হ্রদের পানিতে ডুব দিয়ে ৫ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরেও রুবায়েতের দেখা নাপেয়ে বোট চালকসহ সকলেই মিলে পানিতে খুঁজতে থাকি। পরবর্তীতে বিষয়টি পর্যটনঘাটে বোট মালিক সমিতিকে অবহিত করলে তারা কোতয়ালী থানা ও রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে উদ্ধারের আবেদন জানায়। 

পর্যটন ঘাটের ৪৪ নং বোটের মালিক টিংকু মনি চাকমা ও বোট চালক আকতার হোসেন জানান, আমরা উভয়েই বোটে অবস্থান করছিলাম এবং একাধিক বার রুবায়েত ও তার সঙ্গীদেরকে আমরা নিষেধ করেছি হ্রদের পানিতে না নামার জন্য। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শোনেননি। 

এদিকে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের উদ্বর্তন ওয়্যার হাউস কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও সাব অফিসার ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে ছয়জনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাই। বেলা আড়াইটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে হ্রদের তলদেশ থেকে রুবায়েতের নিথর মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। 

জানাগেছে, রুবায়েত রশিদরা মোট তিন ভাই। তার পিতা হারুনুর রশিদসহ সকলেই দুবাইয়ের প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ি। গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুবায়ের দেশে আসে এবং পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেছিলো। আবারো তিনি দুবাইয়ে চলে যাবেন তাই রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ দেখতে বন্ধুর পরিবারের সাথে এখানে ঘুরতে এসেছিলেন।

সন্ধ্যা সোয়া সাতটা নাগাদ এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সময়ে সর্বশেষ জানাগেছে, ইতিমধ্যেই রুবায়েতের লাশ গ্রহণের জন্য তার মামা রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।