পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাঙামাটিতে যাত্রীবাহি যান চলাচল বন্ধে দূর্ভোগ চরমে


আলমগীর মানিক    |    ০২:৩৪ পিএম, ২০২২-০৮-০৬

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাঙামাটিতে যাত্রীবাহি যান চলাচল বন্ধে দূর্ভোগ চরমে

সরকারের সিদ্ধান্তনুসারে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার সবকয়টি অভ্যন্তরীণ সড়কে যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মালিক সমিতির নেতারা বিস্তারিত খোলাসা করে না বললেও মালিক-চালকদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর দ্বায় বর্তিয়েছেন। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারী সিদ্ধান্তের কথা প্রচার হওয়ার সাথে সাথেই রাত সাড়ে আটটা থেকেই রাঙামাটির সর্বত্র তেলের পাম্পগুলো বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট্যরা। এতে করে পরেরদিনের তেল সংগ্রহ করতে পারেনি যাত্রীবাহি গাড়িগুলোর চালকরা। 

ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কার্যকর না করে তেলের দাম বৃদ্ধির আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রাঙামাটি শহরে যাত্রীবাহি যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে অত্রাঞ্চলে আগত পর্যটকসহ স্থানীয় খেটে খাওয়া মানুষজন।

এদিকে, গ্যাস চালিত গণপরিবহন সড়কে চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সাথে সাথে বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালে অনেকেই পায়ে হেটে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। 

রাঙামাটি জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘হুট করে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়েছি। এজন্য প্রাথমিকভাবে আজ সকাল থেকে শহরে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটি শহরে সিএনজিসহ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকবে।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির নেতা ছৈয়দ কোম্পানী জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া দেওয়া হয়নি। অনেক মালিক তাদের লোকসানের আতঙ্কে বাস চালাচ্ছেনা, আবার অনেকেই আগের দিন তেল কিনতে পারেনি, আজ বর্ধিত মূল্যে তেল কিনে পূর্বের ভাড়ায় গন্তব্যে গেলে লোকসানের শিকার হবেন তাই তারা গাড়ি চালাচ্ছে না। এটা সম্পূর্নই তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় করছে। 

এদিকে শুক্রবার রাতে তেলের নতুন দাম কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে সবগুলো ফিলিং স্টেশনে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, তেল মজুদ রেখে শনিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করছে পাম্পগুলো।