“পার্বত্য ভূমি কমিশন তার নির্ধারিত বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে”


নুরুল কবির    |    ০৬:০০ পিএম, ২০২২-০৭-২৪

“পার্বত্য ভূমি কমিশন তার নির্ধারিত বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে”

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক বিভিন্ন পক্ষের বাধার কারণে ভূমি কমিশন এখনো তাদের কাজ শুরু করতে পারেনি উল্লেখ্য করে বলেছেন পাহাড়ে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হলে অবশ্যই সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। ভূমি কমিশনের একার পক্ষে এই বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। কমিশনের পক্ষ থেকে বিরোধ নিষ্পত্তিকরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। পার্বত্য ভূমি কমিশন তার নির্ধারিত বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

রবিবার সকালে মেঘলাস্থ কমিশনের বান্দরবান শাখা কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজে এলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিচারপতি আনোয়ারউল হক এসব কথা বলেন। করোনা পরবর্তী কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারউল হক পার্বত্য জেলা পরিষস্থ কমিশনের বান্দরবান শাখা কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজে আসেন।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কমিশন সদস্য ক্যশৈহ্লা, পার্বত্য ভ’মি কমিশন সচিব নেজাম উদ্দিন, পার্বত্য ভ’মি কমিশন রেজিষ্ট্রট শেখ মোহাম্মদ বদিউল আলম এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করা হয়। তবে শুরু থেকের কমিশন নানা সমস্যায় পড়ে। কমিশনে ভুমি বিষয়ে আপত্তি ও যাঁদের বিরুদ্ধে আপত্তি উভয় পক্ষ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা নিয়ে কমিশনকে কাজ করতে হচ্ছে। তাই কমিশনকে ধীরস্থির ভাবে এগুতে হচ্ছে। যাতে কোনো পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত বা অসন্তুষ্ট না হয়।

বিচারপতি আনোয়ারউল হক আরও বলেন, গত দু-বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কমিশনের কাজ করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হওয়ার কমিশন আবারও কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলা পরিদর্শন করে কমিশনের সদস্য, ভূমি বিরোধে সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। 

তাই কমিশনকে যুক্তিসংগতভাবে এগুতে হচ্ছে। কমিশন গঠন ও পরিচালনা আইন মোতাবেক কমিশন চলছে। কারো দাবি অনুযায়ী কমিশনের সদস্য বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা কমিশন বা চেয়ারম্যানের নেই। কিছু সমস্যার কারণে কমিশনের কার্যক্রমে ধীরগতি। তবে তিনি চেষ্টা করছেন সব পক্ষকে নিয়েই কাজ করতে।