পরকীয়ার জেরে ৩ তলা ভবন থেকে দম্পতির আত্মহত্যার চেষ্টা


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১২:৩৯ এএম, ২০২২-০৭-২২

পরকীয়ার জেরে ৩ তলা ভবন থেকে দম্পতির আত্মহত্যার চেষ্টা

ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যাকালে রাঙামাটিতে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে অবশেষে ফারুক-খালেদা দম্পতিকে উদ্ধার করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) রাত ৮টায় রাঙামাটি শহরের দোয়েল চত্বর এলাকায় ৫তলা ভবনের তিন তলা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাঙ্গুনিয়ার মো. ওমর ফারুক ও খালেদা দম্পতি।

আত্মহত্যা করতে যাওয়া ওমর ফারুক (২৪) রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াছপাড়া এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে। খালেদা আক্তার (২৪) একই উপজেলার ধামাইরহাটের সোনারগাঁও এলাকার আবুল কালামের মেয়ে।

এবিষয়ে খালেদার সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘাগড়া খিলমোঘল এলাকার মো. সুমন নামের এক যুবকের সাথে খালেদা আক্তারের বিয়ে হয়। ওই সংসারে খালেদার ৮বছরের একটি ছেলে ও ৪বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিয়ের পরবর্তি সময়ে সুমন বিদেশ গমন করে এবং অন্য এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

সে খালেদার সাথে তেমন যোগাযোগ রাখত না। পরে সে দেশে এসেও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখেনি। এর মাঝে খালেদা ওমর ফারুকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে সে আদালতের মাধ্যমে সুমনকে ডিভোর্স দেয় এবং ওমর ফারুকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রাঙামাটি দোয়েল চত্বর এলাকায় বসবাস শুরু করে। এদিকে খবর পেয়ে সুমন খালেদাকে খুজতে এলে সে ও ফারুক ভবনের পেছনে পালিয়ে থাকে। পরে সুমন তাদেরকে ওখানে দেখতে পেয়ে ধরার চেষ্টা করলে লাফিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

এঘটনায় ভবনের পেছনে তাদেরকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ১ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে ওই দম্পতি উদ্ধার হয়। এসময় দোয়েল চত্বর এলাকায় নামে উৎসুক জনতার ঢল।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি কতোয়ালী থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ১ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে আমরা তাদের ২জনকেই উদ্ধার করতে সক্ষম হই। রাতে আমরা তদেরকে পুলিশি হেফাজতে রাখব। আগামীকাল তাদেরকে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

জানতে চাইলে ওমর ফারুক জানায়, আমি খালেদা কে বিয়ে করেছি। তার সাথেই সংসার করতে চাই। খালেদার আগের স্বামী আমাদের কে খুঁজছে। সে আগে থেকে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা উভয়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সাহায্য চাই।