নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১:৫২ পিএম, ২০২২-০৭-০২
চলতি বছরের গত ২১ জুন রাঙামাটি সিমান্তে বিলাইছড়ি উপজেলার সাইজাম পাড়া গ্রামে ত্রিপুরাবাসীর ওপর অত্যাচার চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনা তিনজন নিহত হন। এছাড়াও ২ বছরে শিশু গুরুতর আহত হয়। এরপর থেকে ওই এলাকাসহ আশেপাশে গ্রাম থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেছে ত্রিপুরা, মারমা ও তংচগ্যা জনগোষ্ঠীর ৪টি পাড়ার মানুষ।
এ বিষয়ে কথা হয় পাংপুরি পাড়ার এক বাসিন্দা সাথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, ৪টি গ্রামের পরিবার সবাই প্রাণের ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। পালিয়ে আসার আগে জুমের চাষ করা ধান, আদা, হলুদ ও মরিচসহ বিভিন্ন রকমারিগুলো ফেলে চলে এসেছেন। এখন অর্থনৈতিকভাবে খুব দুর্বল হলেও প্রয়োজনের দিনমজুরি করে এক বেলা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, সাইজাম পাড়ায় যে তিনজন সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে তাদের লাশ এখনো পড়ে আছে। কবর দেওয়া দুরের কথা তাদের ৩০ হতে ৩৫ জন সন্ত্রাসীর হুমকিতে একদিনে হেটে পালিয়ে এসেছেন তিন বছরের শিশুও। এ ঘটনার পর ওই এলাকাসহ আশপাশের ৪টি গ্রামের মোট পরিবার ৭০-৮০ জন নিজ গ্রাম ছেড়ে বান্দরবান শহরে আশপাশে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাদের অত্যাচারে মাথায় বোঝাই করে যতটুকু পেয়েছেন ততটুকু নিয়ে এসেছেন। প্রত্যেক পরিবারের সোলার ছিল ৪০টি মতন সেটি ও তারা আনতে পারেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনাটি নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩নং আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তংচঙ্গ্যাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সেটিকে গুরুত্বপূর্ণ না ভেবে হাসি ঠাট্টা উড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার (২ জুলাই) পাংপুরি পাড়ার বাসিন্দা অলক তংচগ্যা (ছন্দ নাম) সাথে কথা হলে তিনি এ ঘটনা বিবরণ গুলো আতঙ্কের ভয় নিয়ে তথ্য গুলো জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ জুন রাঙামাটি জেলার বড়থলি এলাকার সাইজাম পাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন নিহত ও দুই শিশু আহতের ঘটনায় পর থেকে পাড়ার লোকজন রাঙামাটির বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিলেও শুশীল তঞ্চঙ্গ্যার পরিবার তাদের পাংপুরি পাড়ায় চলে আসে।
শুধু তাই নয় ওই এলাকার সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে রাঙামাটির বিল পাড়ার ২৫ হতে ৩০ পরিবার, সাইজাম পাড়ার ২৩ পরিবার, খাইগ্য ছড়া পাড়ার ৮ থেকে ১০ পরিবার ও সর্বশেষ বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাংপুরি পাড়ার ৫ পরিবার প্রাণ বাঁচাতে শহরে আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছে ৪টি গ্রামের মানুষ।
আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন চেয়রম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চগ্যা জানান, সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে পাংপুরি পাড়ার লোকজন পাড়া ছেড়ে চলে গেছেন বলে শুনেছেন। তবে পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়া গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানfন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক মাদকের আগ্রাসন থেকে রাঙামাটিবাসীকে রক্ষায় এবার সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় ...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক রাঙামাটির দুই উপজেলার পৃথকস্থানে বজ্রাঘাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার লংগদু উপ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপা...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনার মামলায় ‘কুকি-চিন ...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর বিশেষ অভিযানে সি আর মামলা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited