ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের সমাজ ব্যবস্থায় অলিখিত আইনগুলো সংরক্ষণ প্রয়োজন: পার্বত্যমন্ত্রী


আলমগীর মানিক    |    ০৭:৪৯ পিএম, ২০২২-০৬-১৬

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের সমাজ ব্যবস্থায় অলিখিত আইনগুলো সংরক্ষণ প্রয়োজন: পার্বত্যমন্ত্রী

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম নিয়ন্ত্রক হেডম্যান কার্বারীরা। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর রীতিনীতিগুলো আছে বলেই পাহাড়ের সামাজিক সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান করা হচ্ছে। যার ফলে আদালতে বিচারকার্য কম থাকে। 

তারাই সমাজের ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব ধরনের সুবিধা-অসুবিধা সমাধান দিয়ে পাহাড়কে গতিশীল রেখেছেন মন্তব্য করে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপি বলেছেন, হেডম্যান-কার্বারীরাই পার্বত্যাঞ্চলের প্রাণ; তাদের দ্বারা পরিচালিত পাহাড়িদের সমাজ ব্যবস্থায় অলিখিত আইনগুলোকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে রাঙামাটিস্থ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম হেডম্যান সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি, খুন-গুম করে কখনোই শান্তি ফিরে আসবে  না।  

শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আলোচনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর পরও পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাত, খুন, গুম, চাঁদাবাজি কখনোই মেনে নেয়া যায় না।

এরআগে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে হেডম্যান সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী,বান্দরবান জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিংইরয়ং ম্রো,চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী,রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ হেডম্যানরা বক্তব্য রাখেন।

পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, হেডম্যান কার্বারিদের ঐতিহ্যবাহী এ প্রথাকে শক্তিশালী করতে সরকার সব ধরণের কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে। সকল হেডম্যান কার্বারিদের দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এলাকার সকল মানুষের মঙ্গলে কাজ করার আহ্বান জানান। সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার ৩৫০ জন হেডম্যান কার্বারী অংশগ্রহণ করেন।