পাহাড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন অফিসের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি


আলমগীর মানিক    |    ১২:৫৮ এএম, ২০২২-০৬-০৮

পাহাড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচন অফিসের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

চলমান ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা নতুন ভোটারদের জন্য দেয়া শর্ত বাতিল করে ভোটার তালিকা হাল নাগাদের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ(পিসিএনপি)।

মঙ্গলবার (৭জুন) সকালে রাঙ্গামাটিতে একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি উদ্যোগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাব্বির আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি হাবীব আজম ও মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা আক্তার প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকার উপজাতি-অউপজাতি বাসিন্দাদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আলাদা কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্থায়ী বাসিন্দা প্রমানের জন্য পৌরসভা বা ইউপি চেয়ারম্যানের সনদের বাইরে পাহাড়িদের প্রথাগত নেতৃত্ব হেডম্যান/কার্বারীর সনদ এবং জায়গার মালিকানার সনদ চাওয়া হয়েছে।

এ দুটি শর্তের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু মানুষ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে পারছে না। কেননা স্থায়ী বাসিন্দার ক্ষেত্রে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সনদ পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছে নিজস্ব রেকর্ডিয় জায়গা না থাকায় জায়গার সনদ নেই। জায়গা না থাকায় পাহাড়িদের প্রথাগত নেতৃত্ব হেডম্যান কার্বারীরাও এসব বাসিন্দাদের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র/সনদ দিচ্ছে না। এ অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষ নির্বাচন কমিশনের দেয়া এ দুটি শর্ত মানতে পারছে না বিধায় তারা ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে পারছে না।

অথচ বাদ পড়তে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অ-উপজাতি তথা বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

এসব বিষয় বিবেচনা করে ভোটার তালিকা হাল নাগাদে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য আলাদা করে দেয়া শর্ত বাতিল করে হাল নাগাদের সময়সীমা কমপক্ষে আরো ১০ দিন বাড়ানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি জানানো হয়। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়।