আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষ্যে জীবনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১০:৪৯ পিএম, ২০২১-১২-০৫

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষ্যে জীবনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

আজ ৫ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস। স্বেচ্ছাসেবার মধ্যে দিয়ে মানুষের অর্থবহ অবদানের মাধ্যমে আরো বেশি সমন্বিত ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে দিনটি পালন করা হয়। 

আজ রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন "জীবন" এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২১ উপলক্ষে 'বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবীদের অবদান' শীর্ষক আলোচনা ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা হয় কাউখালী অডিটরিয়ামে। এবছরের প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে সকলের অভিন্ন ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত করায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে পাহাড়ের সকলের হৃদয় জয় করা সংগঠন "জীবন"। 

কাউখালীতে আয়োজিত প্রশিক্ষণে আলোচকেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চলে দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য স্বেচ্ছাসেবায় জনসাধারণের প্রবেশ ও স্বেচ্ছাসেবা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন। জলবায়ু, মহামারি, সামাজিক বা অন্য যে কোন বিপর্যয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কিভাবে সম্ভবপর হবে সে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে আসে। এই প্রস্তাবগুলো পার্বত্য জনপদের মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি, সামাজিক ও অন্যান্য যেকোন সংকট মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। আয়োজনের শেষে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় সনদ বিতরণ করেন, জীবনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি)। অন্যান্যদের মধ্যে জীবনের অর্থ সম্পাদক শুভ মন্ডল, দূর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির গাজী উপস্থিত ছিলেন। কাউখালী উপজেলার ৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের নিয়ে এই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হয়। 

কাউখালী উপজেলার কচুখালী, কারবারি পাড়া, রাংগীপাড়া, বেতছড়ি, কাশখালী ও পোয়াপাড়ার ১০টি নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে শীতের উপহার পৌঁছে দেয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের মাধ্যমে।

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য- 'ভলান্টিয়ার নাউ ফর আওয়ার কমন ফিউচার'।

১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন সর্বপ্রথম প্রতি বছর এই দিনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন শুরু করে। স্বেচ্ছাসেবী এবং স্বেচ্ছসেবী সংস্থাগুলোর পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়, বেসরকারী সংস্থা (এনজিও), জাতিসংঘের সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং বেসরকারী খাতের সঙ্গে তাদের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা, কাজের প্রচার করা, মূল্যবোধ ভাগ করে নেয়ার এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয় এর মাধ্যমে। পার্বত্য রাঙামাটিতে বিগত কয়েকবছর ধরেই দিবসটি পালনে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন "জীবন"।