পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২যুগপূর্তিতে খাগড়াছড়িতে জেএসএস’র আলোচনা সভা


আল মামুন    |    ০১:৫৬ পিএম, ২০২১-১২-০৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২যুগপূর্তিতে খাগড়াছড়িতে জেএসএস’র আলোচনা সভা

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’র ২৪তম বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা সমর্থকরা) জেএসএস। বৃহস্পতিবার (২’রা ডিসেম্বর ২০২১) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি’র বাস্তবায়ন হচ্ছে না আন্তরিকতার অভাবে। 

এছাড়াও জুম্মজাতিসহ স্থানীয় বাঙ্গালীদের ভিটামাটি পানিতে তলিয়ে গেলেও যথাযথ পুর্ণবাসন না করায় এখন স্থানীয়রা মানবেতর জীবন যাপন করছে।  এছাড়াও পাহাড়ের মানুষের দীর্ঘ প্রত্যাশা এখন বালির বাঁধে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। ২’রা ডিসেম্বর ২০২১ উদযাপন কমিটির আহবায়ক আরাধ্য পাল খীসা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জেএসএস’র সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা। 

এতে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জেএসএস’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা,ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী  কল্যাণ সমিতির সভাপতি সন্তোষিত চাকমা বকুল, জেএসএস (এমএন লারমা) খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা, উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার,ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর সাধারন সম্পাদক মিটন চাকমা,কেন্দ্রীয় মহিলা সমিতির সাধারন সম্পাদিকা রত্মা  তনচঞ্চ্যা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ  (জেএসএস এমএন লারমা সমর্থিক) পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজ্যময় চাকমা,যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্ঞান চাকমা প্রমূখ। 
 
বক্তারা অভিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তি চুক্তি)র র্পূণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে বিষয়টি ভিন্ন পথে নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান। সে সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে সব কিছুর জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং স্থায়ী শান্তির চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। একই সাথে মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং বিধিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন বক্তারা। একই সাথে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ক্ষোভ-আপেক্ষের কথাও তুলে ধরে নেতৃবৃন্দরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক ভূমি কমিশন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করে কার্যক্রম শুরুর দাবী জানান। ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ সালে পাশ হলেও বিধিমালা প্রণয়ণ করে বিচারীক কার্যক্রম চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেন। 

এছাড়াও সরকারের আন্তরিকতার অভাব,চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে এবং পার্বত্য জনপদের মানুষের চাহিদার মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দরা। একই সাথে পাহাড়ে সংঘাত বন্ধ চুক্তির বাস্তবায়নের বর্তমান সরকারে নৈতিক দায়ী ও সৎচ্ছার উপর গুরুত্বরোপ করে চুক্তি বাস্তবায়নে ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন।