জেএসএস এমএন লারমা’র ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন


আল মামুন    |    ০৩:০৮ এএম, ২০২১-১২-০১

জেএসএস এমএন লারমা’র ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৪ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ও নানা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জেএসএস। মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চলমান রাজনীতি ও দীর্ঘ সময়ের পাহাড়ের মানুষের জন্য করে যাওয়া আন্দোলন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশায় হতাশার কথা জানান জেএসএস নেতারা।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির র্পূণাঙ্গ বাস্তবায়নে সংঘাত বন্ধসহ পাহাড়ের শান্তির পথ সুগম হবে মন্তব্য করে চলমান উন্নয়ন তরান্বিত করতে চুক্তি বাস্তবায়ন জরুরী বলেও মন্তব্য করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জেএসএস’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আরাধ্য পাল খীসা, সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় মহিলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদিকা ববিতা চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর থানার সাধারণ সম্পাদক সুশমিতা চাকমা প্রমূখ।     

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক ভূমি কমিশন আইনের বিধিমালা প্রণয়ন করে কার্যক্রম শুরুর দাবী জানিয়ে সংগঠনটির সিনিয়র নেতারা ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ সালে পাশ হলেও বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বিচারীক কার্যক্রম চালু হয়নি বলে অভিযোগ করেন।

এছাড়াও সরকারের আন্তরিকতার অভাব,চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হওয়া,আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সাধারণ প্রশাসন,স্থানীয় প্রশাসন,ভূমি ব্যবস্থাপনা,উপজাতীয় আইন ও সামাজিক কার্যাবলী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইন ও বিচারীক বিষয়ে স্বচ্ছতা না থাকার অনিয়ম-দূর্নীতির ফলে পাহাড়ের মানুষের আশা-আখ্যাঙ্কার কেন্দ্র বিন্দু হলেও বর্তমানে তা নিরাশ-হতাশার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা।

এছাড়াও পাহাড়ে সংঘাত বন্ধ ও স্থানীয় শান্তির জন্য চুক্তির বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে তিনি, চুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারে নৈতিক দায়ী ও সদিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে সংগঠনটির নেতারা। এ ছাড়াও জনমানুষের লক্ষ অর্জনের জন্য পার্টির প্রায় ৮৫ জন সদস্যকে ঘাতকদের নিকট প্রাণ দিতে হয়েছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, এমএন লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) জেএসএস নেতারা। এ সময় চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন।