রাঙামাটিতে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামী গ্রেফতার!


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৬:৪৪ পিএম, ২০২১-১১-২৬

রাঙামাটিতে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামী গ্রেফতার!

রাঙামাটিতে হত্যাচেষ্টার মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মেখলিন চাকমা (১৮)। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের রাজবন বিহার সংলগ্ন পিটিআই এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেফতার আসামি ওই এলাকার উৎপল চাকমার ছেলে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, ১৭ নভেম্বর ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভারসিটি অব বাংলাদেশ’এর অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অন্তর চাকমা ২/৩ জন বন্ধুকে নিয়ে প্রার্থনার জন্য রাজবন বিহারে যায়। সেদিন ঢকায় যাওয়ার জন্য ডলফিন বাসে রাত ৮টায় টিকিট করে সে। কিন্তু তার আগেই বিকালের দিকে রাজবন বিহার থেকে ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত  আক্রান্ত করে গুরুতর আহত করে তাকে। ওই সময় রাজবন বিহার এলাকায় অন্তর ও তার বন্ধুদের পথরোধ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের ওপর এলোপাতারি মারধর করতে থাকে ১৫/২০ জনের একদল মাদকসেবি বখাটে ছেলে।

অন্তরকে প্রকাশ্য হত্যার জন্য তার মাথায়, কাঁধে, হাতের কব্জিতে, পিঠে, বুকে ইটপাটকেল, ছুরি, হাতুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে হাজির হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় এবং গুরুতর আহত অন্তরকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন ও অন্তরের বন্ধুরা। অন্তর চাকমা রাঙামাটি শহরের ট্রাইবেল আদামে বসবাসরত দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার রাঙামাটি প্রতিনিধি সুশীল প্রসাদ চাকমার ছেলে।

এ ঘটনায় নেতৃত্বে জড়িত কয়েক জনকে শনাক্ত করার পর ২০ নভেম্বর বাদী হয়ে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় হত্যার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নম্বর-১০, তারিখ- ২০/১১/২০২১) দায়ের করেন অন্তরের বাবা সুশীল প্রসাদ চাকমা। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার মেখলিন চাকমা ২ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি তার (মেখলিন) বড় ভাই জনি চাকমা (২০) এবং রিকো চাকমা (১৯), আশীষ চাকমা (১৯), মানিক চাকমাসহ (২০) অপরাপর অজ্ঞাত আসামিরা এখনও অধরা। দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মাদক, ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা, মারধর, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, গ্রেফতার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অন্য আসামিদের ধরতে তৎপরতা চলছে।