নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১:০৫ এএম, ২০২১-১০-২১
দেশে সুখ, শান্তি, মঙ্গল প্রার্থনা ও পরস্পর ক্ষমা প্রদর্শনের প্রার্থনার মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার ও সদর উপজেলার যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র, তবলছড়ি আনন্দ বিহারসহ বিভিন্ন শাখা বন বিহারে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধদের অন্যতম প্রবারণা পূর্ণিমা।
বুধবার (২০ অক্টোবর) প্রবারণা উপলক্ষে সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, পিন্ডদানসহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের ভক্তি শ্রদ্ধায় ও সাধু সাধু ধ্বনীর মধ্যদিয়ে মুখর হয়ে উঠেছে রাজবন বিহার। আর প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে পুরো রাজবন বিহার আলোয় সজ্জিত করা হয়।
এছাড়াও বিশ্ব শান্তি তথা দেশে মঙ্গল কামনায় পাঁচ মিনিট ভাবনা (নিরবতা) পালন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা। অতীতের সমস্ত ভুল, অপরাধ, ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক নারী-পুরুষ বিভক্ত হয়ে অধিস্তান করা হয় প্রবারণা পূর্ণিমায়।
আয়োজিত ধর্মীয় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। বিশেষ বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন ৬নং বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ানসহ গন্যামন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শত শত ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য বনভান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে, একে-অপরের প্রতি হিংসায় লিপ্ত না হয়ে সৎ চিন্তা ও সৎ কুশলকর্ম সম্পাদন পূর্বক নিজেকে আত্মসংযম রেখে ভগবান বুদ্ধের নিয়ম-নীতি পালনের আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ও আবাসিক প্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় আরো ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।
অপরদিকে প্রবারণার পরিসমাপ্তির মধ্যদিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পার্বত্য তিন জেলাতে শুরু হচ্ছে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। তবে এবছরে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হলেও রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে বেইন বুনা হবে না বলে জানিয়েছে, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
উল্লেখ্য, প্রবারণা অনুষ্ঠান বৌদ্ধদের অন্যতম একটি ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। প্রবারণা শব্দের পালি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অনুরোধ, নিষেধ, ত্যাগ বা সমাপ্তি। যা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি, বর্ষাবাস ত্যাগ, প্রায়শ্চিত্তকে বুঝায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাস শেষে তাদের অজান্তে ভুল-ক্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য একে অপর ভিক্ষুদের নিকট প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও প্রবারণাকে আত্ম অন্বেষণ ও আত্ম সমর্পনের তিথি বলা যায়। আবার এই দিনে পূর্ণাঙ্গ অভিধর্ম দেশনা সমাপ্ত হওয়ায় এই দিবসকে অভিধর্ম দিবসও বলা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে কেএনএ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানের আলীকদমে গরু চুরির ঘটনায় গরুর মালিক মোঃ ইউনূস বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ কর্তৃক মাইন বিস্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মানে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনু...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : রাঙামাটির বরকলে বজ্রপাতের আঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, আনসার ভিডিপি সদস্য মোঃ সুলতান (৫৭), মো...বিস্তারিত
গোলামুর রহমান-লংগদু : রাঙ্গামাটির লংগদু জোনের অন্তর্গত ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করে লংগদু সে...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2023 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited