‘রাবিপ্রবি’তে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রলীগের প্রশংসনীয় উদ্যোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৪:৫৪ এএম, ২০২১-১০-১৮

‘রাবিপ্রবি’তে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সেবায় ছাত্রলীগের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র ঝগড়াবিলস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার (১৭অক্টোবর) “ক” ইউনিটের (জিএসটি) গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি’র নির্দেশনায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেনীতে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য “তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র”র আওতায় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

 

তাদের কর্মসূচির মধ্যে ছিলো:  তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিচিতির জন্য সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

এসময় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)’র শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র কর্মী মিরাজুল হাসান সাইমন, প্রধান সম্বনয়ক ও জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাপ্পু, কর্মী শাহারাব হোসেন, আসাদ খান ইফাত, সামিউল আলম রণ, বিশ্বজিৎ শীল, মেরিয়ান তঞ্চঙ্গ্যা, ফাতেমা লাবণ্য সহ রাবিপ্রবি’র শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন জানান, ‘ভর্তিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী যেন অসদুপায় অবলম্বন না করে সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান করছি।’ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যারা অভিভাবক রয়েছেন তারা যেন কোনোভাবেই দালালের খপ্পরে পড়ে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে আপনারা যাবেন না। আমরা অনুরোধ করব সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মাধ্যমে এবং স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। ‘যদি কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নেয় তাহলে ছাত্রলীগ তার দাঁত ভাঙা জবাব দেবে। দুর্নীতি এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ, মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ছাত্রলীগের লিফলেট, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা ও বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়। এই সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হয়েছে। ছাত্রলীগের এ ধারাবাহিকতা সারা দেশের ছাত্রলীগের ন্যায় অব্যাহত থাকবে।

সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলো মোটামুটি অসুদপায়ের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এবারও চাইব যে, সব ধরনের ডিজিটাল জালিয়াতি বন্ধের মাধ্যমে এবং সুন্দর ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার না হয় সেজন্য নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে “ক” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ৮০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে “ক” ইউনিটের অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০ টি আসন, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদভুক্ত ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগে ২৫ টি আসন এবং ফিশারিজ অনুষদভুক্ত ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি বিভাগে ২৫ টি আসন রয়েছে। ##  (প্রস বিজ্ঞপ্তি)