ভারি বর্ষণে সড়ক হয়েছে খাল! স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে


নানিয়ারচর প্রতিনিধি    |    ১০:২৯ পিএম, ২০২১-১০-০৫

ভারি বর্ষণে সড়ক হয়েছে খাল! স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে

রাঙামাটির নানিয়ারচরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি ফেঁপে ফুলে সড়ক ডুবে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকশো পরিবার। 

সোমবার বিকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার নানিয়ারচর সদর ও সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়পুল পাড়া এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে পানিতে। এতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ পড়েছে বিপাকে। বিকল্প হিসেবে নৌকায় হচ্ছেন পারাপার। অনেকে হাটুজলে হেটে পার হচ্ছেন। 

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে থাকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এসময় নৌকাই হয় একমাত্র অবলম্বন। এতে শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীসহ সকলকেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। কোন রোগীর জরুরী সেবা প্রয়োজন হলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা বলেও জানায় তারা। 

কৃষ্ণভদ্র নামে ষাটোর্ধ ব্যক্তি জানান, তিনি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছেন এই দুর্ভোগ। বছরে ১ থেকে দেড় মাস পানিতে ডুবে থাকে এই সড়ক।

জ্ঞানোদর্শি চাকমা নামে এক স্থানীয় জানায়, জনপ্রতিনিধিরা যদি সড়কটি উচু করার উদ্যোগ নেন তবে এলাকার বাসিন্দাদের দুঃখ লাঘব হবে। 

নৌকার মাঝি জিতেন্দ্র চাকমা জানান, লেকের পানি বেড়ে গেলে এই সড়কটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন সে নৌকা যোগে যাত্রী পারাপার করেন। কোন কোন বছর ২/৩ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে এই সড়কটি। তবে এবছর পানি কম থাকায় গত ২০দিন যাবৎ রাস্তায় পানি উঠেছে। আরো সপ্তাহ খানেক এই ভোগান্তি থাকবে বলেও ধারনা এই নৌকা চালকের।

এবিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান, বড়পুল পাড়া এলাকার সড়ক সংস্কারের বিষয়ে আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগ কে চিঠি দিয়েছি। আশাকরি বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, ভারি বর্ষণ হলে নানিয়ারচর লংগদু সড়কের একটা অংশ কিছুক্ষণ পানিতে তলিয়ে যায় আমি এমনটা জানতে পেরেছি। বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সকড় উন্নয়ন প্রকল্প পক্রিয়াধীন আছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যা সমাধান হবে। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেও আশাবাদী এই নির্বাহী প্রকৌশলী।