প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট পদক্ষেপে পাহাড়ে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে; এমপি দীপংকর তালুকদার


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:১৭ পিএম, ২০২১-১০-০৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট পদক্ষেপে পাহাড়ে উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে; এমপি দীপংকর তালুকদার

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট পদক্ষেপের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গমাঞ্চলেও উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, কাউকে ভূমিহীন রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রত্যেকটি পরিবারকে জমি ও গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন। এতে করে দেশের অন্যান্য এলাকায় ন্যায় পার্বত্য এলাকায়ও গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার মাথা গোজার ঠায় পেয়েছেন। আর এটিই বিশ্বে গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কর্মসূচী।

শনিবার রাঙামাটির বিলাইছড়্ উিপজেলায় নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক উদ্বোধন, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ও এলাকার মহিলাদের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য লেমলিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিরোত্তম তংচঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মিজানুর রহমান, বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ আলী, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অভিলাষ তংচঙ্গ্যাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, বেড়াতে আসা পর্যকটদের ভ্রমন জগতের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হলো বিলাইছড়ির নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক। রাঙামাটিতে ভ্রমণ পিপাসুদের পাহাড়ী জীবনযাত্রায় একটু বিশ্রাম ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক সাড়া যোগাবে। তাই বিলাইছড়ির এই বিনোদন কেন্দ্রটি রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য আরেকটি নতুন আকর্ষন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় বক্তারা বলেন, হিংসা মারামারি যেখানে থাকবে সেখানে উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। তাই এইসব হিংসা, নিন্দা, মারামারি বন্ধ করতে হবে। আমাদের সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। আর পাহাড়ে পারস্পরিক সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করি তা হলে দ্রুত উন্নয়ন তরান্বিত হবে। এতে করে এলাকার মানুষ সুফল ভোগ করবে।