রাজস্থলীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মন্দিরগুলো


আজগর আলী খান    |    ১২:২২ এএম, ২০২১-০৯-২৪

রাজস্থলীতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মন্দিরগুলো

কিছুদিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এখনই ঘরে ঘরে চলছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজস্থলী উপজেলায় তিন টি মন্দিরে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ।

প্রতিমা তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন  মৃৎশিল্পীরা। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করে আপন মনে নিপুণ হাতে তৈরি করেছে মা দেবী দুর্গাকে। একাগ্র চিত্তে মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারে দূর্গা পূজা। এরপর ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে পূজার মূল পার্বন শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় এ ধর্মীয় উৎসব।

পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা শব্দের অর্থ অপ্রতিরোধ্য। এ বছর মহাষষ্ঠীতে এই মহামায়া দশভূজা দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে ঘোটকে(ঘোড়ায়) করে এবং পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দোলায়(দোলনা) চড়ে‌ কৈলাশে ফিরবেন।

রাজস্থলী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাঙামাটি জেলার রাজস্থলীতে মোট ০৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। 

সরেজমিনে  মন্দিরে দেখা যায়, শিল্পীদের নিপুণ হাতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।নিখুঁতভাবে মনের মাধুরি মিশিয়ে কারিগররা ফুটিয়ে তুলেছেন দেবী দুর্গাকে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী, স্বরসতী, গণেশ ও কার্তিক, অসুর, সিংহ, মহাদেবসহ ১২টি প্রতিমা তৈরির কাজ। তিনটি পূজা মন্ডবে চলছে  মাটির কাজ।রাজস্থলী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সম্ভু নাথ

বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের মতো এবারেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া নির্দেশনা মেনেই পূজা উদযাপন করা হবে। এবছর রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তিন টি পূজা মন্ডপে  পূজা উদযাপনের আয়োজন চলছে।

রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা থানার দায়িত্বরত সহকারিপুলিশ সুপার মোঃ আবু ছালেহ বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটা মন্দিরেই থানা পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক দল ও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। দেবী বিসর্জন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে। আশা করছি, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  শেখ ছাদেক বলেন, পূজা যাতে সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে পারে সে দিখে প্রশাসন সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর  দায়িত্বে  থাকবে।