নানিয়ারচরে বিদ্যালয় পরিদর্শনে শিউলি রহমান


মাহাদি বিন সুলতান    |    ০৫:২৭ পিএম, ২০২১-০৯-১২

নানিয়ারচরে বিদ্যালয় পরিদর্শনে শিউলি রহমান

করোনার প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ই মার্চ ২০২০সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবছর ৯ই আগষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

রোববার দুপুরে উপজেলার দি চেঙ্গী চাইল্ড হোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নানিয়ারচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিদর্শণ করেন, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি রহমান তিন্নী। 

এসময় শিউলি রহমান বলেন, বিদ্যালয়সমূহে শতভাগ মাস্ক, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ নির্দেশনানুযায়ী সকল বিষয়ে অনেক ভাল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত ও সন্তোষ প্রকাশ করেন এই নির্বাহী অফিসার। 

১২ই সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার নানিয়ারচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় আঠারো মাস ধরে বন্ধ থাকার পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতে পেরে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। 

রাঙামাটির নানিয়ারচরে কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ইবতেদায়ী ও কারিগরিসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাকটর সরওয়ার কামাল।

তিনি জানান, নানিয়ারচর উপজেলায় ৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি বেসরকারি ও কেজি স্কুল, ৭টি এমপিও এবং ১০টি নন এমপিও বিদ্যালয়, এমপিও দাখিল মাদ্রাসা ১টি ও ১টি কলেজসহ মোট ১১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষা ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনানুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে নানিয়ারচর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল বিকাশ খীসা জানান, আমরা গত ২৩শে আগষ্ট থেকে বিদ্যালয় প্রস্তুতকরণ, স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ ও মনিটরিং, অবহিতকরণ ও প্রচারণা, স্কুলে আগমন ও বহির্গমন এবং আসন ব্যবস্থা ও শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।

তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ে আগত শিক্ষার্থীদের কে আমরা ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক বিতরণ ও হ্যান্ড সেনিটাইজ করার মাধ্যমে পাঠদান করছি। যাতে করে আমাদের বিদ্যালয় করোনার প্রাদুর্ভাব মুক্ত থাকে।