আল মামুন | ০৭:২৯ পিএম, ২০২১-০৭-২৭
খাগড়াছড়ি জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে আক্রান্তও। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় পার্বত্য এ জেলায় শুধুমাত্র জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালেই ভরসা। গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগী ভর্তির চাপও বেড়ে চলেছে।
ফলে চিকিৎসকদের আশংঙ্কা, প্রতিদিন যে হারে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, তাতে আগামীতে রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং সঙ্কট দেখা দিতে পারে শয্যারও।
এ অবস্থায় সোমবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ত্রিশ শয্যার আরো একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, জেলায় করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সরকারি স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে যদি আমরা সকলে সচেতন ও আন্তরিক হই, তাহলে সবাই মিলে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো।
এরিমধ্যে পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শঙ্কর চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে অবকাঠামোর সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটি নির্মাণ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। কোরবানী ঈদের পর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে সরেজমিনে হাসপাতালে করোনা টিকা নেওয়ার জন্য নারী পুরুষ দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা সদর হাসপাতালে রোগী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু আজ (সোমবার) হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে আরো ৩০ বেডের একটি করোনা ইউনিট চালু করার নির্দেশনা দেন হাসপাতালের কর্মকর্তাদের।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মাসের করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯%। জেলায় করোনা সংক্রমণ উপজেলা ভিত্তিক বিবেচনা করলে,জেলা সদর ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তর্তী উপজেলা সমূহ পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে বেশী।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা হাসপাতালের ৫০ শয্যার অতিরিক্ত আরো ২০ শয্যার ব্যবস্থা করে রেখেছি। (২৬ জুলাই) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো ৩০ শয্যার একটি নতুন করোনা ইউনিট চালু করার জরুরী নির্দেশনা দেন। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই বলে তিনি জানান। এছাড়াও জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited