মহালছড়ির নুও পাড়াবাসীর পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো


মহালছড়ি প্রতিনিধি    |    ০৭:২৭ পিএম, ২০২১-০৭-২৭

মহালছড়ির নুও পাড়াবাসীর পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার বাবুপাড়া গ্রাম সংলগ্ন নুও পাড়ার বাসিন্দাদের পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ওই গ্রামবাসীদের বিকল্প আর কোনো চলাচলের রাস্তা নেই। মহালছড়ি সদরের সাথে তাঁদের যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র এই বাঁশের সাঁকোটি।

স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি প্রতিবছর নতুনভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে রাখে গ্রামবাসীরা। এই গ্রামের প্রায় ৯০ ভাগ লোক কৃষি নির্ভর। কৃষিকাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য বাজারে বিক্রি করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।

চলাচলের সু-ব্যবস্থা না থাকাই কৃষিজ পন্য বাজারে নিয়ে যাওয়া চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় গ্রামবাসীদের। এছাড়াও স্কুল কলেজ এ পড়ুয়া ছেলেমেয়ে, গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ রোগীদের হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও গ্রামবাসীদের পরতে হয় চরম ভোগান্তিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুও পাড়ার চাকমা ও মারমা সম্প্রদায়ের ৭০ টি পরিবারের প্রায় ৩০০ লোকের বাস। তাঁদের মহালছড়ি সদরের সাথে যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকোটি। ২০১৬ সালে গ্রামবাসীদের চলাচলের সুবিধার জন্য এলজিডি কর্তৃক একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কালভার্টটি তেমন কোনো কাজে আসেনি গ্রামবাসীদের। কারন কালভার্ট টি কয়েক ফূটের দুরত্ব কমিয়ে দিয়েছে মাত্র। কালভার্টটির গোড়া থেকেই বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে তাদের আরো পার হতে হয় প্রায় ৩০০ ফুট।

স্থানীয় ভুক্তভোগী মংসিনু মারমা ও উগ্যজাই মারমা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত তাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য তারা কয়েকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি আরো বলেন বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের সময় স্কুল পড়–য়া ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও বয়স্ক লোকদের জন্য সাঁকোটি আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে উঠে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত মাটি ভরাট করে দিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার আহবান জানান।

স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোঅংপ্রু মারমা  রাস্তা পারাপারের সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, জমির উপড় দিয়ে মাটি ভরাট করে রাস্তা সংষ্কার করতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উপড়ই নির্ভর করছে কখন সমাধান হবে।

এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে একটি প্রকল্প আবেদন করা হয়েছে। আশা করি প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন হবে।