নানিয়ারচরে অব্যাহত রয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি


মাহাদি বিন সুলতান    |    ০১:৩৯ পিএম, ২০২১-০৭-২৭

নানিয়ারচরে অব্যাহত রয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি

নানিয়ারচর উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে অব্যাহত রয়েছে করোনার টিকাদান কর্মসূচি। দীর্ঘদিন করোনা সংক্রামণের হার কম থাকলেও ইদানীং নানিয়ারচরে বাড়ছে করোনা সনাক্তের হার। ফলে বাড়ছে করোনা টিকা গ্রহনের প্রবণতা।

মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অব্যাহত রয়েছে করোনার টিকাদান কার্যক্রম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নার্সদের সহযোগিতায় করোনা ভ্যাক্সিন দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকগণ। স্বাস্থ্যসেবীদের পাশাপাশি এই কার্যক্রমে সহায়তা করছে উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট টিম।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ভবতোষ চাকমা জানায়, নানিয়ারচর উপজেলায় এপর্যন্ত ২৭৬৪জন করোনা ভ্যাক্সিনের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেছে। এর মধ্যে ১৮৮১জন ১ম ডোজ ও ৮৩৮জন ২য় ডোজ গ্রহন করেছে। এখন পর্যন্ত ৮৮৩জন করোনা টিকা গ্রহনে অপেক্ষমাণ রয়েছে।

উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট টিমের টিম লিডার মোঃ রাইহান জানান, উপজেলায় যুব রেড ক্রিসেন্টের ৪০জন সদস্য রয়েছে।

তারা প্রশাসনের সাথে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসকদের সাথে ৪জন সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এবং ২জন আইসিটি পার্সোন রয়েছে। যারা করোনা টিকার রেজিষ্ট্রেশন, যাচাই বাছাই ও টিকার কার্ড সংগ্রহে সাধারণ জনগনকে সাহায্য করে যাচ্ছে। 

করোনায় টিকা গ্রহনের হার বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে নানিয়ারচর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন করোনা সনাক্তের হার একেবারে কম থাকলেও নানিয়ারচরে ইদানীং করোনা সংক্রামণের হার বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। প্রথম দিকে এলাকাবাসীর মাঝে  করোনার টিকা গ্রহনের প্রবণতা কম দেখা গেলেও ইদানীং বাড়ছে করোনা টিকা গ্রহণের হার। পূর্বে ৩০জন করে টিকা প্রদান করা হলেও এখন অর্ধশতাধিক ব্যাক্তিকে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূয়েন খীসা জানান, নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রথম ধাপে অক্সফোর্ডের তৈরী টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৫০০জনকে। গত ১৪জুলাই থেকে চীনের তৈরী সিনোভ্যাক টিকা এসেছে ৪৫০ডোজ। স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে প্রথমে আমাদেরকে ২২৫ডোজ দিতে বলা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে টিকা সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় পরবর্তিতে ৪৫০ডোজই রেজিষ্ট্রেশন করা ব্যক্তিদের মাঝে প্রদান করতে বলা হয়েছে।