হাটহাজারীতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা


হাটহাজারী প্রতিনিধি    |    ১০:৫৯ এএম, ২০২১-০৭-১৬

হাটহাজারীতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এখানকার কৃষকদের নতুন আয়ের দিশা দেখাচ্ছে ড্রাগন ফল। চাষে কল্পকাহিনির ড্রাগন নয়, সুস্বাদু ও লোভনীয় ফল ড্রাগন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি মূলত ভিনদেশি হলেও এখন দেশেই চাষ হচ্ছে।ড্রাগন মূলত আমেরিকার একটি প্রসিদ্ধ ফল, যা বর্তমানে বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।আমাদের দেশে ২০০৭ সালে প্রথম থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এ ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। নরম শাঁস ও মিষ্ট গন্ধযুক্ত গোলাপি বর্ণের এ ফল খেতে অনেক সুস্বাদু। তার সাথে ভিটামিন সি, মিনারেল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও ফাইবারের উৎকৃষ্ট উৎস। ড্রাগন ফল গাছ ক্যাকটাস সদৃশ।

আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযোগী। সরেজমিন পৌর সদরের পশ্চিম দেওয়ান নগর এলাকার পাহাড়ী এলাকার ড্রাগন চাষী চৌধুরী বলেন, দুই বছর বয়সে একটি ড্রাগন গাছে পরিপূর্ণ ফল আসে। একটি পিলারে প্রতি বছরে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ফল পাওয়া সম্ভব।

দুই বছরে একটি পিলারে থেকে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এই দেড় বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল বিক্রি করে বছরে আমার ১২ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি। তবে এখানে প্রস্ততি মুলক ভাবে চাষ শুরু করতে যাচ্ছি। যতোষ্ট পরিমানের জমি আছে এবারও যদি ভালো ফলন দেখতে পায় তাহলে আগামীতে এ সব জমিতে ড্রাগন চাষ করব।

পৌর সদরের পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে সুন্দর পরিবেশে ড্রাগন চাষ করেন,তরুন ব্যবসায়ী নুরুল আবছার,তিনি বলেন, থাইল্যান্ড সফরে গেলে সেখানে কয়েকটি বাগান দেখতে পায় ড্রাগন চাষ,  তখন তাদের বাগানের পরিচর্যকারীরা আমাকে জানায় ড্রাগনের ফল আসতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে। তখন আমি একটু হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু নিজে যখন চাষ শুরু করেছি তখন ধারণাটি বদলে যায়। আমি গত দুই বছর আগে গাছ লাগিয়েছি।

গাছ লাগানোর পর প্রায় ৭-৮মাসের মধ্যে আমার বাগানে ফুল, ফল আসতে শুরু করেছে। তবে বাণিজ্যিক ভাবে চিন্তা না করে এমনি এখানকার মাটিতে ড্রাগন চাষ হয় কি-না দেখতে প্রস্ততি মুলক ভাবে পাহাড়ী এলাকার আমার কিছু জায়গায় ড্রাগন চাষ শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন,বিভিন্ন চাষীদের মাধ্যমে আমার জমি গুলোতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ করতে শুরু করেছি,ইনশাআল্লাহ গত বছরও ভালো ফলন দেখেছি এবং এই বছরও গাছে যতোষ্ট পরিমানে আমার বাগানে ফুল, ফল আসতে শুরু করেছে।