ব্যবসায়ি নেতা সেলিমের উদ্যোগে বছরজুড়েই ত্রাণ পাচ্ছে কয়েক হাজার দুঃস্থ পরিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:৪৪ এএম, ২০২১-০৪-২৮

ব্যবসায়ি নেতা সেলিমের উদ্যোগে বছরজুড়েই ত্রাণ পাচ্ছে কয়েক হাজার দুঃস্থ পরিবার

করোনাকালীন বছরজুড়েই রাঙামাটি শহরের হতদরিদ্র বিপন্ন মানুষজনের একমাত্র আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন জেলার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ি মঈন উদ্দিন সেলিম। করোনার প্রথম ঢেউয়ে যখন হতদরিদ্র পরিবারগুলো চরম খাদ্য সংকটে পড়ে ঠিক সেই সময়ে নিজের সামর্থের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন রাঙামাটির অন্যতম বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ি মরহুম হাজী ইউছুপ আলী সওদাগরের সন্তান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোনের সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম। 

করোনা প্রথম পর্বে সরকারি নিষেধাজ্ঞায় ঘরের মধ্যে অন্তরীণ হওয়া হতদরিদ্র ও নিন্মমধ্যবিত্ত প্রায় তিন হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি গেল শীত মৌসুমেও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছিলেন জানিয়ে ব্যবসায়ি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, বর্তমান সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এতে করে নাগরিকদের রক্ষায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের একার পক্ষে বিশাল জনগোষ্ঠিকে সহায়তা প্রদান করা মোটেও সম্ভবপর নয়।

তাই এবারও আমি আমার সামথ্যনুসারে পাড়া প্রতিবেশি হতদরিদ্র ও সংকটাপন্ন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমি চলতি সপ্তাহে দুই দফায় চাউল, ডাল, তেল, পেয়াজ, আলু, সেমাই, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, এবার প্রথম দফায় আমার ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম উদ্ধোধন করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান।

একজন ব্যবসায়ি নেতার এই ধরনের ধারাবাহিক ত্রাণ সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক বলেন, চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের একার পক্ষে সার্বিক সহযোগিতা প্রায় অসম্ভব। এই ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবান/প্রবাসি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দদের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, মঈন উদ্দিন সেলিম যে কাজটি করছেন নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যোগ। এই ধরনের কাজের সাথে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। 

এদিকে মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ি নেতা সেলিম বলেন,রাঙামাটির সাবেক জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ এর আন্তরিকতা ও সু-পরামর্শের ফলে আমি এইধরনের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার চেষ্ঠা করছি। তিনি বলেন, আমার পিতা মরহুম হাজ্বী ইউছুপ আলী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রাঙামাটির জনগণের জন্য মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন।

সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা মরহুম এইচটি ইমাম মহোদয় নিজের লেখনী বইয়ে উল্লেখ করেছেন। আমি আমার বাবার আদর্শকে বুকে ধারন করে গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়াদিয়ে এই ধরনের ত্রাণ সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছি।করোনা কালীন সময়ে যতটুকু সম্ভব এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।