“পেটে ভাত নাই-কিসের লকডাউন”


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১১:৩১ পিএম, ২০২১-০৪-০৭

“পেটে ভাত নাই-কিসের লকডাউন”

লকডাউনে তৃতীয় দিনেও রাঙামাটিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না জনগণ। জেলা প্রশাসন কর্তৃক ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ খেটে খাওয়া মানুষগুলো। প্রশাসন বলছে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।

জরুরী ছাড়া দোকানপাট বন্ধ লোকাল যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু সরেজমিনে ঘুওে দেখা গেছে নিন্ম আয়ের মানুষগুলো এই লকডাউন মানতে রাজি না। তাদের রুটি-রোজগারে তারা লকডাউন মানছেনা। তৃতীয় দিনের লকডাউনে রাঙামাটি শহরের মধ্যে সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে, রির্জাভ বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় দোকানপাট ও হোটেল খোলা ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় জনগণকে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। অনেকেই লকডাউনের বিপক্ষে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে কাজকর্ম দোকানপাট ও বসে বসে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে অনেককে।

রির্জাভ বাজার লঞ্চ ঘাটের বেশ কিছু দিনমজুর বলেন, পেটে ভাত নাই-কিসের লকডাউন সরকার আমাদের পেটে ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আমরা ঘর থেকে বের হবো না।আমরা দিন মুজুর আমাদের অবস্থা কি হবে সে ব্যাপারে কি সরকার একবার চিন্তা করেছে? লকডাউন দেওয়ার আগে সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ ছিল। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব। এছাড়া প্রতিটি লেবারের এনজিও কিস্তি আছে ওই কিস্তি দিতে না পারলে আমাদের সমস্যা আছে। বাধ্য হয়ে আমরা ঘরে থেকে বের হতে হয়েছে। এটা লকডাউন না এটা একটা জীবন যুদ্ধ বললেই চলে।

পৌরট্রাক টার্মিনাল দিন মুজুরা বলেন, লকডাউনে তাদের কোন কাজকর্ম নাই। তারা দিনে আনে দিনে খায়, বর্তমানে তাদের অবস্থা করুন। সরকার দ্রুত এই লকডাউন যেন তুলে নেয়। এঅবস্থা বিরাজ করলে আমরা না খেয়ে মারা যাব। আর যদি লকডাউন দিতেই হয় তাহলে সরকার আমাদের খাওয়া দাওয়ার ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাহলে আমরা ঘর থেকে বের হবো না।

এদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে শহরের মধ্যে প্রচুর অটোরিকশা(সিএনজি) চলতে দেখা গেছে। তবে নাম্বার ওয়ালা অটোরিকশা(সিএনজি)’র চেয়ে নাম্বার বিহীনগুলো রাস্তায় বেশী দেখা গেছে। তারা মানছে না লকডাউন মানছেনা জেলা প্রশাসনের আদেশ। এদিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শহরে রাস্তাগুলোর বিভিন্ন অংশে ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় বের হওয়া লোকজনকে তারা বুঝিয়ে এবং মাস্ক বিতরণ করে বুঝিয়ে ঘওে ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্ঠা চালাচ্ছে প্রশাসন।