বাঘাইছড়িতে মাদক বিরোধী স্ট্যাটাসের জেরে যুবকের উপর হামলা


মাসুদ পারভেজ নির্জন    |    ০৭:৫৩ পিএম, ২০২০-০৯-২১

বাঘাইছড়িতে মাদক বিরোধী স্ট্যাটাসের জেরে যুবকের উপর হামলা

বাঘাইছড়িতে ফেসবুক স্টাটাস কে কেন্দ্র  করে সন্ত্রাসী হামলা,দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমতলী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।

হামলার স্বীকার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নায়েক নূর মোহাম্মদ জানায়,গত ১৬ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদকবিরোধী স্টাটাস দিলে ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান ম্যাসেন্জারে স্টাটাস ডিলেট করার জন্য হুমকি ধামকি প্রদান করে।পরদিন সন্ধ্যায় আব্দুর রহমান কথা আছে বলে  আমতলী বাজারের উত্তর পাশে তথ্য সেবা কেন্দ্রের সামনে নিয়ে আব্দুর রহমান(২৬) ও তার ভাই আমিরুল ইসলাম(৪৫) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাশ ও গাছের লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে ।মারধর থেকে বাচাঁর জন্য দৌড়িয়ে  আমি আমার বড় ভাই ইলিয়াছ হাওলাদারের দোকানে প্রবেশ করলে পিছু নিয়ে  আমার ভাই ও আমাকে বেদড়ক মারধর করে।সেখান থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে আমি ও আমার  ভাই পালিয়ে গেলে  বড় ভাইয়ের ক্যাশে থাকা নগদ ৩৩,০০০ টাকা লুটপাট করে ও প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট করে। 

এদিকে আব্দুর রহমান মুঠোফোনে জানান,ঘটনাটি কোন ফেসবুক স্টাটাসের কারনে ঘটেনি।ঘটনাটি পারিবারিক দ্বন্দের কারনে ঘটেছে।আর তাছাড়া ওরাই আমাকে মেরেছে।

আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী  জানান,আমি  এবং একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন এ এস আই একটা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।হঠাৎ ধরপাকড় লাঠিসোঠা নিয়ে দেখলাম দৌড়াদৌড়ি হচ্ছে।আমি তাড়াতাড়ি  বের হলাম। সাব ইন্সপেক্টর  তাড়াতাড়ি গিয়ে হামলাকারী আব্দুর  রহমানকে বের করে বললো ”তোমরা ওকে মারছো কেন?চলে যাও”। আব্দুর রহমান ছেলেটা সাব ইন্সপেক্টরের সামনেই বলে উঠলো ”ওকে আমি আগেও মারছি শিক্ষা হয়নাই ওকে আরো কিছু দিতে হবে”।আমি তখনেই প্রতিবাদের সুরে আব্দুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বললাম  ”এটা বাজার  আর কথা ঠিক মতো বলো”।পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।আমি সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখলাম সামনে আমিরুল, পেছনে ছিলো রহমান, ওরা তথ্য সেবা কেন্দ্রের সামনে থেকে সম্ভবত হাতে লোহার রড অথবা গাছের লাঠি বা বাশের লাঠি হবে।নুর মোহাম্মদ কে সেখান থেকে আমিরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান দুই ভাই দাওয়া করলে  নুর মোহাম্মদ দৌড়ে তার বড় ভাই ইলিয়াছ হাওলাদারের দোকানে আত্মরক্ষার জন্য ছুটে গেলে সেখানেও তাদের উপর আক্রমন করে।

চেয়ারম্যান আরো বলেন,নুর মোহাম্মদ একটা মাদকবিরোধী স্টাটাস দিয়েছে আমিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি।কিন্তু সেখানে কারো নাম উল্লেখ করে দেয়নি।সামনে নির্বাচন সে তার মত প্রকাশ করতে পারে এটা স্বাভাবিক।তাই বলে মারামারি এগুলোর কোন প্রশ্নেই উঠেনা।আর নুর মোহাম্মদ ও তাদের পরিবার খুবই ভদ্র।নূর মোহাম্মদ ও তার ভাইয়ের উপর যে ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই মর্মান্তিক।

বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন জানান,বিষয়টি তদন্ত করছি সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।