রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ঢাকা ম্যারাথনের সমাপনী


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৩:৪৩ এএম, ২০২১-০২-২৮

রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ঢাকা ম্যারাথনের সমাপনী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাঙামাটি রিজিয়ন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুর ২টায় সাপছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় হতে হাজারো প্রতিযোগির অংশগ্রহণে মানিকছড়ি হয়ে রাঙামাটি রিজিয়ন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন। ম্যারাথন দৌড় শেষে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল ইফতেকুর রহমান (পিএসসি) এর সভাপতিত্বে সম্মাননা সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দিপংকর তালুকদার (এমপি)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএফআই কর্নেল (জিএস) ইমরান ইবনে এ রউফ, রাঙামাটি জোন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম (পিএসসি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সফল একটি দেশ গড়তে দেশের সকলকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। শুধুমাত্র একটি দিন না দৌড়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

এসময় তিনি এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। সভাপতির বক্তব্য রিজিয়ন কমান্ডার ইফতেকুর রহমান, পিএসসি বলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজনে সারাদেশে ১০লক্ষ প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে ধারাবাহিকভাবে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন” অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে আমরা অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের প্রভূত সাড়া পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তাতে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবে। এজন্য আমাদের মাঝে অসাম্প্রদায়িক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। তবেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারব।