নুরুল কবির | ০৫:১১ পিএম, ২০২১-০২-২০
বান্দরবান থানচি সড়কের নীলগিরির নিকটবর্তী একটি স্থান চন্দ্রপাহাড়। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে প্রায় ২৪০০ ফুট উপরে চিম্বুক রেঞ্জের সর্বোচ্চ স্থানে চন্দ্র পাহাড়ের অবস্থান। উপরের বিস্তৃত নীল আকাশ, নিচে সবুজের গালিচা, যে দিকে চোখ যায় দীগন্ত রেখা পর্যন্ত শুধু ছোট বড় পাহাড় দেখা যায়। চন্দ্রপাহাড়ে আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট ও ক্যাবল কার নির্মিত হলে দূর্গম ওই এলাকা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। স্থানীয় হাজার হাজার উপজাতি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বদলে যাবে পাহাড়ীদের জীবন যাত্রা।
চিম্বুক রেঞ্জ নয়নাভিরাম এলাকা। আর চন্দ্র পাহাড় পাহাড়িদের কাছে নাইতং পাহাড় নামে পরিচিত। বান্দরবান সদর থেকে ৫০ কিঃমিঃ দূরে থানচি প্রধান সড়ক ও লামা উপজেলার সীমানা লাগোয়া স্থানে আশেপাশে নেই কোন জনবসতি ও লোকালয়। চন্দ্রপাহাড়ের নিকটবর্তী চারটি পাড়া-লোকালয়গুলো হচ্ছে কাপ্রুপাড়া, ধলাপাড়া, এরাপাড়া ও কলাইপাড়া। চন্দ্রপাহাড় থেকে কাপ্রুপাড়া সাড়ে ৩কি:মি। উত্তর-পশ্চিমে ধলাইপাড়া ২.১ কি:মি: দক্ষিণে এবং কলাই পাড়া ০৫ কি:মি: পূর্বে অবস্থিত।
স্থানীয় মাকং ম্রো, আলং ম্রো, মেনরাং ম্রো, সাংরাং ম্রো জানান, চন্দ্রপাহাড়ে পর্যটন উন্নয়ন হলে পাহাড়ি জনগণ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য আগত পর্যটকদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারবে। রাস্তার দুই পাশে ফলের দোকান ও রেস্তোরাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলতে পারবে স্থানীয় এলাকার পাহাড়ী সম্প্রদায়। পাহাড়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল বলে বেড়াচ্ছে, ফাইভ স্টার হোটেল হলে ৮শ থেকে ১হাজার একর জায়গা দখল করা হবে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ি উপজাতীয়দের পানিয় জলের সমস্যা দূরী হবে। বিদ্যুতায়ন হবে এলাকায়। উন্নত জীবন যাপনের ফলে উপজাতীয় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা বাড়বে। উপজাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আরও বিকাশ ঘটবে। এছাড়াও উপজাতীয় শপিং কমপ্লেক্স এ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও হাতের তৈরি দ্রব্যাদি বিক্রির মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন হবে।
চিম্বুক রেঞ্জে অবস্থিত চন্দ্রপাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পর্যটন উন্নয়নের জন্য আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর পক্ষে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের সাথে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে বর্তমান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট ভূমি উন্নয়নে পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। পর্যটন শিল্প বিকাশে জনস্বার্থ পরিপন্থী কোন ধরনের স্থাপণা নির্মাণ এবং স্থানীয় উপজাতীদের জীবন যাপন ও আচরণ বিঘিণত করে। এরুপ কার্যক্রম চুক্তির আওতাভুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও পর্যটন শিল্প পরিচালনায় ও ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়।
বর্তমানে সরকারি খাস খতিয়ানের ২০ একর জায়গায় একটি উন্নতমানের হোটেল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রকৃতি ঠিক রেখে উন্নত নির্মাণ শৈলীর আদলে তৈরি করা হবে। ওই জায়গাটি একটি তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা এবং বসবাসের অযোগ্য। ওই জায়গাটিতে কোন রাস্তাঘাট, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ তথা কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা নেই। উক্ত এলাকাতে বর্তমানে লোক বসবাসও করছে না। ওই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হলে পরিবেশের উপর কোন বিরুপ প্রভাব পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited