রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ে গাঁজা চাষ; ৩ হাজার চারা জব্দ করলো র‌্যাব,আটক-১


আলমগীর মানিক    |    ১১:৩৬ এএম, ২০২১-০২-১০

রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ে গাঁজা চাষ; ৩ হাজার চারা জব্দ করলো র‌্যাব,আটক-১

রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি উৎপাদনের দিকে ধাবিত হচ্ছে স্থানীয় পাহাড়িদের একটি অংশ। আঞ্চলিকদলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতার রসদ জোগানোর লক্ষ্যে স্থানীয় পাহাড়ি বাসিন্দাদের দিয়ে পতিত পাহাড়ি জমিতে গাঁজা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্যাদির চাষাবাদ করানো হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির কিছু অংশে এতোদিন এসব কর্মকান্ড চলে আসলেও সম্প্রতি পার্বত্য রাঙামাটির বিভিন্ন দূর্গমাঞ্চলেও এই ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে আঞ্চলিকদলগুলোর মদদপুষ্ট একটি চক্র।

পাহাড়ে তৈরিকৃত এসব মাদক ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রয় করা হয়। সম্প্রতি স্থানীয় সচেতন বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিষয়টি নজরে আসে বিশেষায়িত এলিট ফোর্স র‌্যাব-৭ এর উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের। 

সংস্থাটির মিডিয়া উইং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের মাধ্যমে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানাধীন বর্মাছড়ি মুখপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি আবাদী জমিতে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা গাছ চাষাবাদ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-৭ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানাধীন ফটিকছড়ি ইউপির বর্মাছড়ি মুখপাড়া এলাকার ফটিকছড়ি খালের পাশে পৌঁছা মাত্রই  র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি ডালিম চাকমা (৪০), পিতা- মনমোহন চাকমা, সাং- বর্মাছড়ি মুখপাড়া, থানা- কাউখালী, জেলা- রাঙামাটি’কে আটক করে।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও সনাক্তমতে তারই চাষকৃত ০৩ টি আবাদি জমিতে (আনুমানিক ০১ বিঘা) নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা গাছ চাষাবাদ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত আবাদী জমিতে অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ০৩ হাজার এর অধিক গাঁজার গাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাঁজা গাছ হতে কিছু আলামত রেখে অবশিষ্ট গাঁজার গাছ ধ্বংস করা হয়। আটককৃত আসামীকে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাশকুর রহমান জানিয়েছেন, সমতল ভূমির পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলেও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব।