নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৮:৪৭ পিএম, ২০২১-০২-০৩
রক্তাক্ত জাতিগত সংঘাত থেকে শান্তির পথে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভিযাত্রাকে অশান্ত করতে চলছে গোপন সশস্ত্র তৎপরতা। শান্তিমুখী পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখা যাচ্ছে অশান্তির ইঙ্গিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের মতে, শান্তির চলমান ধারায় গোপন সশস্ত্র তৎপরতা অত্যন্ত বিপজ্জনক, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে।
জানা গেছে, রাঙামাটির বিলাইছড়িতে সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত আঞ্চলিকদল জেএসএস-এর পরিচয়ধারী ৭ পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী। রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিলাইছড়ির উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- চাইলগ্য ত্রিপুরা (৬০), বলিয়াম ত্রিপুরা (৪৮), বিরমনি ত্রিপুরা (৪৫), বিষ্ণমনি ত্রিপুরা (৪৪), লক্ষণ ত্রিপুরা (৩০), জীবন ত্রিপুরা (২৬), বীর বাহাদুর ত্রিপুরা (২৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮টি কার্টুজ, বিস্ফোরক দ্রব্য, ২টি চাকু, ২টি ছবি, ৩টি সীল ও একটি চেক বই উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, সন্ত্রাসীরা বিলাইছড়ির ফারুয়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাস, সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও শান্তি বিনষ্টকারী অপতৎপরতা করছে মর্মে অভিযোগের ভিত্তিতে দু’দিনের টানা অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ ৭ সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে যৌথবাহিনী। আটককৃত সকলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস এর সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় দু’টি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত পাহাড়ি অরণ্যে অবস্থানকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাস, সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও শান্তি বিনষ্টকারী অপতৎপরতা সম্পর্কে প্রায়ই মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে। একাধিক সূত্রের মতে, রাজনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লুট, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে জাতিগত-সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টেরও চেষ্টা করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, সন্ত্রাসীরা চলমান শান্তির প্রতি হুমকি ছাড়াও চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে।
স্পর্শকাতর ও সীমান্ত সংলগ্ন পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টাকে চলমান শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করছেন স্থানীয় জনগণ। স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের গৃহীত মানবিক ও কাঠামোগত উন্নয়নধারা অব্যাহত রেখে টেকসই শান্তি সুনিশ্চিত করতে শান্তিবিরোধী গোপন সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বার বার আবেদন করছেন। সূত্র: বার্তা ২৪.কম।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক মাদকের আগ্রাসন থেকে রাঙামাটিবাসীকে রক্ষায় এবার সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় ...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক রাঙামাটির দুই উপজেলার পৃথকস্থানে বজ্রাঘাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার লংগদু উপ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বিসিআইসির অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপা...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনার মামলায় ‘কুকি-চিন ...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ এর বিশেষ অভিযানে সি আর মামলা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited