কাপ্তাই লেকে যেকোন অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো - ডিসি মামুন


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০১:৫০ এএম, ২০২০-০৯-১৪

কাপ্তাই লেকে যেকোন অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবো - ডিসি মামুন

দীর্ঘসময় যখন লেকের পানি কম থাকবে তখন শুকিয়ে যাওয়া জায়গায় অবৈধ স্থাপনা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। এইবার লেকের পানি কম আছে তাই এখন থেকেই আমরা তৎপর আছি। জেলা প্রশাসন ভবিষ্যতেও কাপ্তাই লেকে যেকোন প্রকার অবৈধ স্থাপনা করার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ এইসব কথা বলেন। এ বিষয়ে তিনি সবার সহযোগীতাও কামনা করেন।

সকাল ১১টায় আয়োজিত উক্ত সভায় জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, বিএফডিসির কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সংবাদকর্মীরা।    

মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় রাঙামাটিস্থ মাদকের বিভিন্ন ঘাঁটি চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান ও মাদক নিয়ন্ত্রণে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে স্থানীয় প্রশাসন বিশেষত এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ প্রশাসনকে অবহিতকরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি এসিযুক্ত মসজিদগুলো সার্বিক তদারকি বৃদ্ধিকরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

রাঙামাটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার হ্রাস নিয়ে আলোচনা ও জেলার অধীনস্থ সকল অফিসকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

সড়ক বিভাগের চলমান কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা বিশেষত আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক (তিনটি সেতু সমেত ১৮ কি.মি. দীর্ঘ) ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পাশের সড়কের নির্মাণকাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়।

কাপ্তাই লেকের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় লেকের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরির প্রচেষ্টা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাত অপদখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পৌরসভাকে সম্পৃক্ত করে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা এবং রাঙামাটি ফিশারী ঘাট এলাকার শোভাবর্ধন ও বাঁধ মেরামত এবং কাপ্তাই লেকের ড্রেজিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিবিধ বিষয়াবলী আলোচনা করা হয়।