“জমি নাই-ঘর নাই”রাঙামাটির এমন ২৬৮ পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার


আলমগীর মানিক    |    ০৯:০০ পিএম, ২০২১-০১-২১

“জমি নাই-ঘর নাই”রাঙামাটির এমন ২৬৮ পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারি পদক্ষেপ ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৭৩৬ হতদরিদ্র পরিবারকে জমি ও ঘর বানিয়ে দিচ্ছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।

আগামী ২৩শে জানুয়ারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও প্রাথমিকভাবে সকল কাজ সম্পন্ন হওয়া ২৬৮টি ঘর সংশ্লিষ্ট্য উপকারভোগীদের কাছে চাবি ও বিশেষ দলিল হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে রাঙামাটিতে ২হাজার ৫১২ টি ঘর দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট্য উপকার ভোগীদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়স্থ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩শে জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায়’ ২৬৮টি জমিসহগৃহ উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এসময় রাঙামাটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ জেলা প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, রাঙামাটিতে জমিও নাই-ঘরও নাই এমন পরিবারগুলোকে (ক) শ্রেণীর অর্ন্তভূক্ত করে সাত উপজেলায় খাস জমি চিহ্নিত করে সেগুলোতে সর্বমোট ৭৩৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এসব ঘর মেরামতের জন্য প্রতিটি বাবদ এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে সরকার। তিনি জানান, যাদের জমি আছে কিন্তু থাকার ঘর নাই’ এমন পরিবারগুলোকে (খ) শ্রেণীর আওতাভূক্ত করে তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে;এই প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৬০টি, বরকল উপজেলায় ১৯টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩৫টি, লংগদু উপজেলায় ৩৪টি, কাপ্তাইয়ে ৩০টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ২৮টি ও রাজস্থলী উপজেলায় ৬২টিসহ সর্বমোট ২৬৮টিঘর ভুমি ও গৃহহীন পরিবারকে শনিবার চাবি ও বিশেষ দলিল হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রথমধাপে সর্বমোট ৭৩৬টি পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। 

২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন “যে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না” তার এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই মুজিব বর্ষে প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারই পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় সেমিপাকা ঘর, আর দুই শতাংশ জমির মালিকানা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে।

দেশের বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে নিজস্ব ঠিকানা অর্থাৎ্ জমির মালিকানাসহ সরকারি খরচে নির্মিত বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে আরেকটি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন, যা নজিরবিহীন বলেও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।