নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২:০৬ পিএম, ২০২১-০১-২০
তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের কর্মরত সাংবাদিকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর এ কে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। পাহাড়ের এই মানুষটি সাংবাদিক সৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবদান কম নয়। তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে ছিলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবন-জীবিক, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা।
এর প্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র বরাবরে সকল সাংবাদিকগণ সহমত প্রকাশ করে চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা বাতিঘর এ কে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা এ কে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তরুন কুমার ভট্টাচার্য্য, খাগড়াছড়িতে প্রকাশিত দৈনিক অরুণ্য বার্তার সম্পাদক- চৌধুরী আতাউর রহমান রানা, সময় টেলিভিশনের সাংবাদিক ও খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক- আবু তাহেব মোহাম্মদ, এস এস টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি- মোঃ নুরুল আজম, পূর্বকোণ এর জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি- জহুরুল আলম, কালের কন্ঠ ও এ টি এন বাংলার জেলা প্রতিনিধি- মোঃ আবু দাউদ, একুশে টিলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি- চিম্মেপ্রু মারমা, প্রথম আলো সাংবাদিক- জয়ন্তী দেওয়ান এবং প্রথম আলো’র ফটোগ্রাফার- নিরব চৌধুরী, অপুদপ্ত, দীলিপ চৌধুরী, যমুনা টিলিভিশনের প্রতিনিধির- শাহারিয়া ইউনুস, দীঘিনালা ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তমাল দাস লিটন ও নুরুচ্ছফা মানিক ও সৈকত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি গুইমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন এবং সকল সদস্যবৃন্দ, খাগড়াছড়ি পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সত্যয়ন চাকমা, এস চাকমা সত্যজিৎ এবং আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি- রফিকুল ইসলাম।
বান্দরবান কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা এ কে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু, সহ সভাপতি নাছিরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, বান্দরবান প্রেস ইউনিটের সভাপতি আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকির, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আল ফয়সাল বিকাশ, সাধারণ সম্পাদক মংসানু মারমা, মোহন টেলিভিশন বান্দরবান প্রতিনিধি রাহুল বড়ুয়া ছোটন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন বান্দরবান প্রতিনিধি কৌশিক দাশ, চ্যানেল ২৪ বান্দরবান প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী, বাংলা টিভি বান্দরবান প্রতিনিধি মোঃ ওসমান গণি।
রাঙামাটি কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে যারা এ কে এম মকছুদ আহমদকে একুশে পদক প্রদানের সহমত প্রকাশ করেছেন তারা হলেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সহ সভাপতি অলি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, কোষাধ্যক্ষ পুলক চক্রবর্তী, রিপোর্টাস ইউনিটের সভাপতি সুশিল প্রসাদ চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজন, একুশে টিভি রাঙামাটি প্রতিনিধি ছত্রং চাকমা, দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকা রাঙামাটি প্রতিনিধি মোঃ কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বাহাদুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ, আর টিভি রাঙামাটি প্রতিনিধি ইয়াছিন রানা সোহেল, জেটি টিভি আনলাইন টেলিভিশন রাঙামাটি প্রতিনিধি শিশির দাশ বাবলা, এস এ টিভি রাঙামাটি প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোলাইমান, বিজয় টিভি রাঙামাটি প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজ কামাল ইমন।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তরুন কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হলেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তিনি যখন সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন তখন তিন জেলা মিলে একটি জেলা ছিল। আর অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র মুখপাত্র ছিল সাপ্তাহিক বনভূমি। পরবর্তীতে দৈনিক গিরিদর্পন প্রকাশ হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে বুঝতেন না। সেই সময় সংবাদপত্রের মতো কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজটি করেছেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ।
অরণ্য বার্তার সম্পাদক, চৌধুরী আতাউর রহমান রানা বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় আজ যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন তা সম্ভব হয়েছে বনভূমি ও গিরিদর্পণের কল্যাণ। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার কথা লেখা হতো এ দুটি পত্রিকায়। আর সেই সব সমস্যা সরকারের দৃষ্টিতে পড়তো। ফলে সরকারও সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতেন। আজ যে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে এতো উন্নয়ন তা এই দুটি পত্রিকার কারণে তা নিঃসন্দেহে স্বীকার করতে হবে। মকছুদ আহমেদের দেখাদেখি আমরাও উৎসাহিত হয়েছিলাম। তাঁর অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে যুক্ত করেছিলাম। বাংলাদেশ অবজারভাবে সাংবাদদাতা হিসেবে কাজ করি।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, এটি নিঃসন্দেহে বলা চলে যে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সাংবাদিকতা পেশায় যারা এসেছেন, তাঁর দেখানো পথ ধরেই এসেছেন। এ কে এম মকছুদ আহমেদ সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের পথিকৃৎ।
দীঘিনালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিকাশে এ কে এম মকছুদ আহমেদের ভূমিকা অতুলনীয়। তিনি পার্বত্যাঞ্চলের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তাঁর মতো মানুষ হয় না। তিনি উদার মনমানসিকতার মানুষ। তাঁর চিন্তা-ভাবনাও ব্যতিক্রমী এবং ইতিবাচক। তিনি সবসময় পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের পক্ষে লিখেছেন।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited