নানিয়ারচর ব্রিজে বাইকার আতঙ্ক!

চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে না হতেই বেড়েছে বখাটে বাইকারদের দৌরাত্ম্য

মেহেরাজ হোসেন সুজন    |    ০৯:৩৬ পিএম, ২০২০-০৯-১২

নানিয়ারচর ব্রিজে বাইকার আতঙ্ক!

২৫০ কোটি টাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘতম সেতু স্থাপন করা হয়েছে নানিয়ারচর উপজেলায়। প্রতিদিনই পর্যটকেরা তিন পার্বত্য জেলার দীর্ঘতম এই সেতুর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসছেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় থাকে বেশী। 

তবে সম্প্রতি সেতুটিতে কিছু কিছু বখাটে বাইকারদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে সীমাহীনভাবে। খুব বেশী ট্রাফিক না থাকা ব্রিজটি ফাঁকা পেয়ে যাচ্ছেতাইভাবে উর্ধগতিতে বাইক চালাচ্ছে বখাটে বাইকাররা। এতে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় দূর্ঘটনা।

নানিয়ারচর ব্রিজে বেপরোয়া মোটর বাইক চালানোর বিষয়ে একটি ফেইসবুক পোস্টে নানিয়ারচর প্রেসক্লাব সভাপতি মাহাদী বিন সুলতান কমেন্ট করেন, "প্রশাসনের গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিৎ।"

সেচ্ছাসেবী সংগঠন (বিডি ক্লিন)এর রাঙ্গামাটি সমন্বয়ক বলেন, সুন্দর লিখেছেন, "আসলেই ব্রিজগুলোতে এমনি হয়, আশা করি কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসবে।"

স্থানীয় ব্যাবসায়ী মোঃ শামীম রেজা বলেন, "সময় উপযোগী পোস্ট বিষয়টি আমিও লক্ষ্য করেছি৷ এবং ভীষণ চিন্তা হচ্ছে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটে যায়।"

সরেজমিনে সেতুতে ঘুরতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পর্যটক জানান, পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘতম সেতু উপভোগ করতে এসেছি কিন্তু কিছু বাইক চালক যেভাবে স্পীডে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, তাতে বড় দূর্ঘটনার আশংকা করছি। 

নানিয়ারচর বাজারের বেশ কয়েকটি ফার্মেসীতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় শুধুমাত্র চলতি সপ্তাহে এই সেতুতে দূর্ঘটনা কবলিত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এসেছে ডজন খানেক মানুষ। এভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালানো অব্যাহত থাকলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

নানিয়ারচর অগ্নি নির্বাপক কমিটির সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ বলেন, মোটর বাইকের বেপরোয়া চলাচলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই  প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে উনাদের উদ্যোগে এ বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এবিষয়ে নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির রহমান জানান, আমি আগামীকাল হতেই ব্রিজে পুলিশি টহল জোরদার করবো। কেউ যাতে অতিরিক্ত গতিতে বাইক চালাতে না পারে সেই বিষয়টি পুলিশ দেখবে।