রাঙামাটি পৌর নির্বাচন: ৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হতে লড়বেন যারা


ইকবাল হোসেন    |    ১২:১৪ এএম, ২০২১-০১-১৩

রাঙামাটি পৌর নির্বাচন: ৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হতে লড়বেন যারা

আসন্ন রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও জনসমর্থন গড়ে তুলতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। ৪নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু, গত নির্বাচনে বাবুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নূর নবী, সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বেলাল হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর শহিদ চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম রাশেদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল করিম কইজ্জা, আওয়ামীলীগ নেতা মো. আলমগীর।

মিজানুর রহমান বাবুঃ 
আসন্ন রাঙাামটি পৌরসভা নির্বাচন বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে যদি ৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ আবার সুযোগ দেয় তাহলে- ইনশাআল্লাহ পৌরসভার যে বরাদ্দ আছে তা দিয়ে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সেরা দৃশ্যমান উন্নয়নের মাধ্যমে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। পর্যটন নগরী হিসেবে আগত পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে কাজ করব। ৪নং ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে পৌরসভার উন্নয়ন দৃশ্যমান করব। যেহেতু সিলেটি পাড়ার জনসাধারণের চলাচল ৪নং ওয়ার্ডেই বেশি তাই আমাকে পুণরায় নির্বাচিত করা হলে জনস্বার্থে সিলেটি পাড়াকে ৫নং ওয়ার্ড থেকে ৪নং ওয়ার্ডে আনার ব্যপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এখানে উল্লেখ্য যে, করোনা পরিস্থিতিতে তিনি নিজের জীবনের পরোয়া না করে সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে অসহায়দের পাশে দাঁয়িছেন। প্রতিনিয়ত হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন থাকা মানুষদের বাড়ি বাড়ি নিজে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। জনসেবা করতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং করোনাকে জয় করে সকলের মাঝে ফিরে এসেছেন। 

মিজানুর রহমান বাবু সামাজিক কর্মকান্ডেও বেশ সক্রিয় তিনি সর্বদা যেকোন ধর্মের অনুসারী যেকেউ মারা গেলে সবার আগে ছুটে যান এবং দাফন-কাফন করতে এগিয়ে যান। তিনি রফিক স্মৃতি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, করোনা কালীন জেলা প্রশাসকের দাফন কাফন রেসপন্স টিমের ১নং সদস্য, দেওয়ান পাড়া মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির, ওমদা মিয়া হিল পৌর জুনিয়র হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য, দক্ষিণ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, শ্রমিক নেতা হিসেবে রাঙামাটি জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয় ও চালক কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সাবেক সদস্য সচিব, হযরত আব্দুল ফকির মাজার ওরশ কমিটির যুগ্ম-সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডে জড়িত আছেন। 

নূর নবীঃ
এবিষয়ে গত পৌরসভা নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু’র নিকটতম প্রতিদ্বন্দী নূর নবীর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে ৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ যদি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করেন তাহলে ওয়ার্ডবাসীর চাহিদা, আশা-আকাঙ্খা যাই আছে তা আমি শতভাগ পূরণ করার অঙ্গীকার করছি। পৌরসভার যে সেবাসমূহ আছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং আমি কাউন্সলর নির্বাচিত হলে ৪নং ওয়ার্ডের কোন অলিগলি অন্ধকার থাকবেনা সব ঝঁকঝঁকে চকচকে থাকবে। ৫ বছর ওয়ার্ডের প্রত্যাকটি বৈদ্যুতিক পিলারে রাতের বেলা লাইট জ্বলবে। আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমার কার্যক্রম হবে “যত্রতত্র ডাস্টবিন ও ময়লা আবর্জনা থাকবেনা। সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে যাই আসুক না কেন- আমি এখন যেমন ঘরে গিয়ে গিয়ে ভোট চেয়ে আসতেছি ঠিক তেমনিভাবে সরকারি সহায়তা আমি নিজ হাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিব। আমার মা-খালা যারা বৃদ্দ ও বিধবা আছেন তাদের জন্য বৃদ্ধ ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। ৪নং ওয়ার্ড থেকে মাদক নির্মূল করবো। আর আমার ৪নং ওয়ার্ড এ ঝুলন্ত সেতুটি স্থাপিত হওয়ার ফলে এখানে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন এছাড়াও এ ওয়ার্ডে প্রশাসনিক ও সরকারি-বেসরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর আছে তাই আমি আমার দায়িত্ব আন্তরিকতা ও সততার সাথে পালন করবো ঝঁকঝঁকে চকচকে মডেল ওয়ার্ড নির্মাণ করবো। সর্বোপরি আমাকে যদি ওয়ার্ডবাসী নির্বাচিত করে তাহলে- ৫বছরের জন্য ১দিনও জমানো ময়লা থাকবেনা লাইন ফিউজ ছাড়া ১মিনিটের জন্য কোন এলাকার লাইট বন্ধ থাকবেনা সারারাত জ্বলবে। নূর নবী রফিক স্মৃতি ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য এবং সাবেক খেলোয়ার । জেলা ক্রিকেট দলেও তিনি খেলেছেন। 

মো. বেলাল হোসেনঃ
এবিষয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মো. বেলাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি আওয়ািমীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছি। এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষরা যেকোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি সবসময় তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এলাকাবাসী যদি আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করে তাহলে এলাকার গরীব-দুঃখীদের জন্য সরকারি যা সাহায্য সহযোগিতা আসে তা আমি সঠিকভাবে বন্টন করব এবং যাদের জন্য সরকার এই বরাদ্দগুলো দেয় সঠিকভাবে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমি এই সহযোগিতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব। আর কাউন্সিলর হিসেবে আমার যেই মূল দায়িত্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং এর বিষয়ে আমি কাজ করব। ৪নং ওয়ার্ডের কোন অলিগলি অপরিষ্কার ও অন্ধকার থাকবেনা। যেহেতু পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু ৪নং ওয়ার্ডে এবং দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসে তাই তাদের যাতে কোন প্রকার সমস্যায় পড়তে নাহয় সেজন্য আমি বিশেষ গুরুত্বসহকারে কাজ করব। কারন পর্যটকরা এসে যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শতভাগ লাইটিং দেখবে তখন রাঙামাটি সম্পর্কে ভালো ধারনা নিয়ে যাবে এবং অন্যদের ঝুলন্ত ব্রীজে ভ্রমন করতে উৎসাহিত করবে। আর বর্তমান যেই উন্নয়ন চলছে আমি এই ধারা অব্যাহত রাখব এবং জনসাধারণকে সাথে নিয়ে রাস্তা, সিড়ি ও অন্যান্য উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাব। আর ৪নং ওয়ার্ডের যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে খেলাধুলার সুযোগ সুযোগ সৃষ্টি করব।  

রাজনৈতিক জীবন- ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ড যুবলীগের তিনি সদস্য হন এরপর ধাপে ধাপে শহর যুবলীগের সদস্য ও জাতীয় শ্রমীকলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর ইউনিটি ট্রাস্ট এ্যান্ড হেল্প (ইয়ুথ) এর আজীবন সদস্য ও রাঙামটি স’মিল মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক, সান স্টার স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ও যুব উন্নয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাথে জড়িত আছেন। সুখে-দুঃখে অসহায়দের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। 

শহিদ চৌধুরীঃ
সাবেক কাউন্সিলর শহীদ চৌধুরীর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমাকে ৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ যদি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করে তাহলে- বিপদে আপদে ৪নং ওয়ার্ড বাসীর পাশে থাকব, চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন করবো, সরকারি যেকোন ত্রাণ সামগ্রী সকলের মাঝে সুষম বন্টন করা ও অতীতের ন্যায় যেকোন সময় ২৪ঘন্টা জনসাধারণের ডাকে সাড়া দেওয়াই হবে আমার মূল দায়িত্ব। 

মো. আব্দুল করিম কইজ্জাঃ
৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মো আবুল করিম কইজ্জার সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের যে উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখব। যারা নিরীহ বিধবা ও বৃদ্ধ আছেন যারা কোন প্রকার সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না এবং শিশু ভাতা পাচ্ছে না। আমি নির্বাচিত হলে ১ বছরের মধ্যে কোন প্রকার রাজনীতি ও দলীয়করণ না করে তাদের সরকারি এ সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আমি নির্দলীয় হিসেবে অতীতেও নির্বাচন করেছি এইবারও করব সকলের পাশে এখনও আছি আমাকে নির্বাচিত করা হলে সকলের সুখে-দুঃখে যেভাবে এগিয়ে আসি আগামীতেও এই ধারা আরো বৃহৎ পরিসরে অব্যাহত রাখব।

সাইফুল আলম রাশেদঃ
জেলা ছাত্রলেিগর নেতা সাইফুল আলম রাশেদ’র সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমি দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক, জেলা টিম ও রফিক স্মৃতি ক্লাবের খেলোয়ার হিসেবে সামাজিক ও ক্রীড়াঙ্গণে কাজ করে যাচ্ছি। এর পাশাপাশি যেহেতু আমার একটি রাজনৈতিক ব্যানার আছে সেখান থেকে আমি সামাজিক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। যার দরুণ আমি ক্রান্তিকালীন বিভিন্ন মূহুর্তে যেহেতু আমি এই এলাকার সন্তান আমার বাবার জন্ম ও এই এলাকায় এবং আমার দাদার জন্মও এই এলাকায় সেক্ষেত্রে আমি এই এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ৪নং ওয়ার্ডে জনসাধারণ যদি আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করে তাহলে আমি আরো স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের যে নায্য পাওয়া তা আমি দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিব। অপরদিকে আওয়ামীল সরকারের যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সেটা আমি তৃণমূল পর্যায় থেকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমি সক্ষম হবো। আর পর্যটন এলাকা হিসেবে এই ওয়ার্ডের লাইটিং ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার করছি এবং জনসাধারণ যদি আমাকে যদি নির্বাচিত করে তাহলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে ৪নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে তৈরি করার অঙ্গীকার করছি।    

রাজনৈতিক পরিচিতিঃ রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৪ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, একই বছর পৌর শাখার সদস্য, ২০০৬ সালে কলেজ ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, ২০১০ সালে পৌর ছাত্রলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, ২০১২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি জেলা ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সদস্য ও রফিক স্মৃতি ক্রিকেট ক্লাবের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

মো. আলমগীরঃ 
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. আলমগীরের সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ৪নং ওয়ার্ড বাসীর সেবা এবং সুখে-দুঃখে পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। তিনি আরো বলেন আমার এলাকা যেহেতু পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত তাই আমি পর্যটনের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন করব এবং সামাজিক অবক্ষয় দূর করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব দুঃখীদের জন্য যে ভাতা গুলোর ব্যবস্থা করেছেন বিধবা, বয়স্ক, শিশু ভাতা সঠিকভাবে বন্টন করব। কোন প্রকার রাজনীতি ও আত্মীয়করণ করব না। 
রাজনীতি- ১৯৯৬ সালে তিনি ওয়ার্ড ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। এরপর ধাপে ধাপে শহর ছাত্রলীগের সদস্য, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও বর্তমানে তিনি ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সৃষ্টি স্পোর্টিং ক্লাবের সহ-সভাপতি ও সাবেক ফুটবলার।