পার্বত্যাঞ্চলের সন্ত্রাসীরা অভিযানের সময় পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১২:৩৮ এএম, ২০২০-১২-৩১

পার্বত্যাঞ্চলের সন্ত্রাসীরা অভিযানের সময় পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালে তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নেয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। আমাদের এলাকা দিয়ে ধাওয়া দিলে তারা দুর্গম এলাকা পার হয়ে ভারতে চলে যায়।

সেটা যেন না হয় সেজন্য আমরা বিওপি’র সংখ্যা বাড়াচ্ছি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছ। তারা যতটুকু পারছেন সহযোগিতা করছেন, আমরাও সেটাই করছি।

গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর পিলখানায় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের একবিন্দু মাটিও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

সন্ত্রাসী বাহিনী যাতে সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে বিজিবি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যে সীমান্ত রয়েছে, সেখানেও এমন কিছু এলাকা সম্পর্কে আমাদের কাছে কিছু গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে সীমান্ত পার হয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী চক্র অপরাধ করে চলে যায়।

আবার ওখানে অপরাধ করে আমাদের এখানে এসে শেল্টার নেয়। এসব বন্ধ করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছি। এছাড়া আমরা বর্ডার রোড নির্মাণে জোর দিয়েছি। বর্ডার রোড হয়ে গেলে এসব সমস্যা আর হবে না।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।

এর আগে সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে মাল্টিপারপাস শেডে বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৯ জনকে পদক দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন।

পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডারগার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডারগার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) প্রদান করা হয়।