মানবিক পুলিশ ইউনিটের সহায়তায় হাতে পচন ধরা কিশোরী সুস্থ!


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১২:৫৯ এএম, ২০২০-১২-১৮

মানবিক পুলিশ ইউনিটের সহায়তায়  হাতে পচন ধরা কিশোরী সুস্থ!

পচন ধরা হাত নিয়ে মৃত্যু পথযাতী রাঙামাটির নানিয়ারচরের ভিক্ষুক মায়ের সেই কিশোরী কন্যা এখন পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথে। বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম মানবিক পুলিশ ইউনিট চট্টগ্রাম এর কর্ণধার পুলিশ কর্মকর্তা শওকত হোসেন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কিশোরীটির পচন ধরা হাতটি কেটে তাকে সুস্থ করে বৃহস্পতিবার তাকে যাবতীয় ঔষধপত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে নিজস্ব গাড়ির মাধ্যমে নানিয়ারচরের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে বলে নিজ ফেসবুক টাইমলাইনে ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিএমপি’র মানবিক পুলিশ ইউনিট এর প্রধান শওকত হোসেন।

তার ষ্ট্যাটাসটি হুবহু  "রাঙামাটির নানিয়ারচরের বাবাহারা এতিম ভিক্ষুক মায়ের সন্তান কিশোরী আয়েশা হাতে পচন ধরে পোকা ধরে গিয়েছিলো৷ বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ঘরে বসে কাদছিলো। বিষয়টি আমাদের মানবিক পুলিশ ইউনিটের নজরে আসলে আমরা তাকে রাঙামাটি থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসার দায়িত্ব নেই। এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অপারেশনের তারিখ নির্ধারিত হলে আয়েশার মানসিক সমস্যার কারনে তাকে ডাক্তাররা মেন্টাল ওয়ার্ডে রেফার্ড করে, মেন্টাল ওয়ার্ডে আয়েশা পাগলামী করলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দুইমাস পরে আসতে বলে।

কিন্তু আয়েশার হাত পছে অলরেডী পোকা পড়ছিলো মেয়েটি যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। তাহলে কি আমরা মানবিক পুলিশ ইউনিট হেরে গেলাম.........? না আমরা চট্টগ্রামের বেশ কয়েক প্রাইভেট হাসপাতালে যোগাযোগ করি সবাই ৪৫-৫০ হাজার টাকা চায় অপারেশনের জন্য। তবে হলি হেলথ প্রাঃ ক্লিনিকের একজন মানবিক ডাক্তার আমাকে এবং আমাদের মানবিক পুলিশ ইউনিটকে ভালবেসে সবমিলিয়ে ২০ হাজার টাকায় রাজি হয়।

অবশেষে মানবিক পুলিশ ইউনিটের খরচে ২০ হাজার টাকায় আয়েশার অপারেশন হয় এবং তার কব্জি কেটে বাদ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আয়েশাকে অপারেশন পরবর্তী সকল ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে মানবিক পুলিশ ইউনিটের গাড়ীযোগে তাকে পৌছে দেওয়া হয় বাড়িতে। উল্লেখ্য প্রায় ২০দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়েশার সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা, পথ্য, খাবার, ঔষধ, অপারেশনসহ যাবতীয় খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি বহন করে। এছাড়াও আয়েশাদের একটি বাড়ি তৈরি এবং আয়েশার বিয়ের খরচ মানবিক পুলিশ ইউনিট বহন করবে। বাবাহারা চির দুঃখী ভিক্ষারী মায়ের সন্তান আয়েশার চোখের পানি মুছতে বদ্ধপরিকর আমরা মানবিক পুলিশ সদস্যরা। হাসো বোন হাসো আমরা জেগে আছি।

-শওকত হোসেন {মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি }"