কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের জন্য আরো প্রায় সাড়ে ৪'শ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ করেছে মন্ত্রণালয়


আলমগীর মানিক    |    ০১:২২ এএম, ২০২০-০৯-০৯

কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের জন্য আরো প্রায় সাড়ে ৪'শ মেঃ টন চাউল বরাদ্দ করেছে মন্ত্রণালয়

সম্প্রতি শেষ হওয়া কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে কষ্টে থাকা জেলেদের জন্য তথা কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের জন্য আরো ৪৩৯.১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালীন মৎস্যজীবীদের দ্বিতীয় পর্যায়ের এই ৪৩৯.১২ (চারশত ঊনচল্লিশ দশমিক এক দুই) মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেন পাঠানো এই প্রেসবার্তায় বলা হয়, কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলায় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা ২১ হাজার ৯ শত ৫৬টি জেলে পরিবারকে জুলাই ২০২০ মাসের জন্য ২০ কেজি হারে এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফ চাল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ছাড়া অন্য কাউকে এ ভিজিএফ দেয়া যাবে না মর্মেও বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মে মাসে উল্লিখিত ১০টি উপজেলায় মে-জুন দুই মাসের জন্য সরকার ২২ হাজার ২ শত ৪৯ টি মৎস্যজীবী পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ কেজি হারে ৮৮৯.৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো রাঙামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দিঘীনালা। উল্লেখ্য, প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে।